পৃথিবীর 5 টি সব থেকে হিংস্র এবং বিষাক্ত মাছ | Top 5 Most Dangerous Fish in The World

পৃথিবীর 5 টি সব থেকে হিংস্র এবং বিষাক্ত মাছ

পৃথিবীর 5 টি সব থেকে হিংস্র এবং বিষাক্ত মাছ

বন্ধুরা আপনারা কি জানেন পুরো পৃথিবীতে মাছেদের 32 হাজারেরও বেশি আলাদা আলাদা প্রজাতি আছে। যার মধ্যে কিছু মাছকে তো আমরা অবশ্যই খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনারা কি জানেন, এই দুনিয়ায় এমনও কিছু মাছের প্রজাতি আছে।

যারা নিজের শরীরের থেকেও দশগুণ বড় আকারের জীবগুলো কে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই টুকরো টুকরো করে খেয়ে ফেলতে পারে। হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমরা কথা বলবো এমনই পাঁচটি হিংস্র মাছ সম্পর্কে।

যাদের অ্যাটাক থেকে বেঁচে ফেরা কখনো কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এদের মধ্যে কিছু মাছ এত ডেঞ্জারাস হয় যারা মানুষের হাড় কেও চিবিয়ে ফেলতে পারে। আবার কোন মাছের শরীরে এত বেশি বিষ পাওয়া যায় যা দশটা কিং কোবরার কাছে কম পরে যাবে।

আর এদের সম্পর্কে হয়তো আপনি কখনো পড়েননি। তাই আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। আর প্রতিদিন এরকম নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টিকে ফলো করে রাখুন। সাথে আমাদের ফেসবুক পেজে জয়েন হয়ে থাকার অনুরোধ রইল।

চলুন শুরু করা যাক,,

পৃথিবীর সবচেয়ে সাংঘাতিক এবং হিংস্র ৫ টি মাছের তালিকা

নাম্বার 1: MORAY EEL

পৃথিবীর 5 টি সব থেকে হিংস্র এবং বিষাক্ত মাছ MORAY EEL

বন্ধুরা জানলে আপনি অবাক হবেন যে, মোরে ইইল এর পুরো পৃথিবীতে 200 টারও বেশি ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। যাদের সাইজ 10-2 মিটার পর্যন্ত। আর এদের মধ্যে এই মাছটা কে সবচেয়ে শক্তিশালী মনে করা হয়।

কারণ এদের রয়েছে শক্তিশালী মুখ। সাধারণত যে কোন পশুপাখি ও জীবের একটাই চওয়াল হয়। কিন্তু এই ইইল টার দুটো আলাদা আলাদা চওয়াল আছে। একটা হলো বাইরের দিকে যেখানে অজস্র সূচালো দাতে ভরা আছে।

আর অন্যটা হল ভিতর দিকে এরা যখন মাছ শিকার করে তখন সবার আগে এরা বাইরের চওয়াল দিয়ে মাছটিকে আটকে ধরে এবং ভিতরে চল দিয়ে ভিতরের দিকে টেনে নেয়।

নাম্বার 2: SAW Fish

SAW Fish পৃথিবীর 5 টি সব থেকে হিংস্র এবং বিষাক্ত মাছ

SAW Fish হলো একটা সার্কের প্রজাতি। যারা অন্য সার্ক গুলোর থেকে একদম আলাদা দেখতে হয়। কারণ এদের নাক টা প্রায় দুই থেকে তিন ফিট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। যাতে অনেক সূচালো কাটা থাকে।

কাঁটা সাহায্যে কে রাজ্যে কোন জীবকে কেটে দুটো করে ফেলতে পারে। যদিও এদের সাইজের কথা বলি তাহলে এরা লম্বায় বিশ থেকে পঁচিশ ফিট লম্বা হতে পারে। আর এদেরকে বেশিরভাগ আটলান্টিক ওশিয়ানে দেখতে পাওয়া যায়।

এরা এতটাই ভয়ঙ্কর হয় যে এরা নিজেদের শরীর থেকে বড় জীব কেউ আক্রমণ করতে ভয় পায় না। আপনি একবার ভাবুন আপনি যদি কখনো এদের সামনে পড়ে যান তাহলে কি হতে পারে?

নাম্বার 3: PAYARA Fish

PAYARA Fish পৃথিবীর 5 টি সব থেকে হিংস্র এবং বিষাক্ত মাছ

বন্ধুরা পায়ারা ফিশকে পৃথিবীর সবচাইতে হিংস্র মাছ গুলোর মধ্যে একটি বলা হয়। কারণ এরা সবসময় শিকারের খোঁজে থাকে। আর যখনই কোন জীব এদের সামনে আসে এরা তখনই স্বীকার করে নেয়। কারণ এদের চওয়াল খুবই মজবুত হওয়ার পাশাপাশি এদের বড় বড় দুইটা দাঁত থাকে।

যা মুখ বন্ধ করার পর উপর দিকে থাকা দুইটি গর্তের মধ্যে চলে যায়। আর এদের চোয়ালটা এত শক্তিশালী হয় যেকোনো জীব যদি এদের মুখের মধ্যে একবার চলে আসে তাহলে বেরোনো প্রায় অসম্ভব।

এরা লম্বায় 2 ফিট এবং ওজনে 10 কেজি পর্যন্ত হতে পারে। জানলে আপনারা অবাক হবেন যে প্রতিবছর প্রায় 700 এর বেশি লোক এদের শিকার হয়ে যায়।

নাম্বার 4: STONE Fish

STONE Fish পৃথিবীর 5 টি সব থেকে হিংস্র এবং বিষাক্ত মাছ

স্টোন ফিশ কে পৃথিবীর সব চায়তে বিষধর এবং ঘাতক মাছ গুলোর মধ্যে একটি বলা হয়। এদের একটি বিশেষ গুণ হল‌। এরা সমুদ্রের নিচে মাটির সাথে একদম মিশে পাথরের মত চুপ করে বসে থাকতে পারে। আর এই কারণে এদের নাম রাখা হয়েছে স্টোন ফিশ।

আপনাদের বলে রাখি এদেরকে সমুদ্রের মধ্যে খুঁজে পাওয়া খুব-ই মুশকিলের একটি বিষয়। কারণ এরা বেশির ভাগ সময়ই পাথরের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। যাতে তারা তাদের কাছে আসা যেকোনো ছোট মাছকে খুব সহজেই স্বীকার করতে পারে।

জানলে আপনার অবাক হবেন যে এরা জলের ঞবাইরে প্রায় 24 ঘন্টার মত বেঁচে থাকতে পারে। আর এই সময়ে যদি কোন মানুষ ভুল করে এদের গায়ের উপর পা রেখে দেয় তাহলে তাকে এদের শিকার হতেই হবে।

কারণ এদের পিঠের মধ্যে এমন 17‌ টা বিষাক্ত কাটা থাকে যেটা দিয়ে এক ধরনের খুবই মারাত্মক বিষ বের হয়। যেই বিষ একজন সুস্থ সবল মানুষ কে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে মেরে ফেলতে পারে

নাম্বার 5: ELECTRIC EEL

ELECTRIC EEL পৃথিবীর 5 টি সব থেকে হিংস্র এবং বিষাক্ত মাছ

বন্ধুরা ইলেকট্রিক ইইল সম্পর্কে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন। এরা অ্যামাজন নদীর সবথেকে ডেঞ্জারেস ভয়ঙ্কর মাছ। যারা অন্য মাছগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়। কারণ এদের গায়ে এক ধরনের ইলেকট্রিক পাওয়ার পাওয়া যায়।

যা যে কোন মানুষকে একটাই বড়ও ঝটকাতে পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারে। এই মাসের ভিতরে সব সময় 600 ভোল্টের ইলেকট্রিক পাওয়ার থাকে। যখনই কোন শিকার এদের কাছে আসে। তখনই এরা তাদের শরীর দিয়ে তাদেরকে জড়িয়ে নেয়।

এবং তাদের শরীরে থাকা ইলেকট্রিক পাওয়ারের সাহায্যে তাদেরকে শিকার করে। যদি এদের সাইজের কথা বলি তাহলে এরা লম্বায় প্রায় 2 মিটার এবং ওজনে 20 কেজি হয়ে থাকে। এই মাছগুলোর থেকে অন্য জীবগুলা সব সময় একটু দূরে থাকতেই পছন্দ করে।

যদি কোন মানুষ এদেরকে টাচ করে নেয় তাহলে সেটা ইমারজেন্সি সিচুয়েশন হয়ে যায়। আর যদি সঠিক সময়ে ট্রিটমেন্ট না দেয়া হয় তাহলে হাই ফেয়ারের এজন্য তার প্রাণ ও যেতে পারে।

আমার লেখায় কোন ভুল থাকলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে🥰