সকালে টিকা নিয়ে রাতেই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - ইজি এডুকেশন বিডি

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রশিদ, কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম...
COVID 19, coronavirus Vaccine, Tika, COVID-19 cases in Bangladesh, education news, Bangladesh COVID 19,
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের দোরা গ্রামে সকালে টিকা নিয়ে রাতে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ টিকা নেয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত ওই স্কুল ছাত্রীর নাম ফারাজানা আক্তার বিন্দু (১৫)। গতকাল সোমবার রাতে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত স্কুলছাত্রীর বাবা নুর ইসলাম জানান, সোমবার সকালে তাঁর মেয়ে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা দিতে যায়। টিকা দিয়ে আসার পর ওই দিন সন্ধ্যা থেকে অসুস্থ বোধ করতে থাকে। পরে রাত ১১টার সময় সে অচেতন হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক শাহাজান আলীকে ডাকা হয়।

ওই চিকিৎসক এসে একটা ইনজেকশন পুশ করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ অবস্থায় তাকে দ্রুত কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রমিজ উদ্দিন তপু জানান, ওই রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

তবে সোমবার সকালে সে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছিল সে কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের অবস্থা ও ঘটনা শুনে ও প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায়, সে ধরনের কোনো অবস্থা বোঝা যায়নি।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রশিদ, কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিন জানান, রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে খবর পেয়ে যাই। চিকিৎসক তাকে স্বাভাবিক মৃত বলে ঘোষণা দেন। এ কারণে মরদেহ ছেড়ে দেওয়া হয়।

Post a Comment

* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.